মাত্র এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত অধিকাংশ কোম্পানির প্রায় সবগুলো খাতের শেয়ারের দর বেড়েছে। ফলে বিনিয়োগ ঝুঁকি দ্বিগুণ বেড়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে সিরামিক, প্রকৌশল, ইন্স্যুরেন্স, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, সিমেন্ট, বস্ত্র এবং জ্বালানিখাত। তবে মিউচ্যুয়াল ফান্ড, পেপার ও বিবিধখাতে ঝুঁকি সামান্য কমেছে।
ডিএসই'র ওয়েব সাইটের তথ্যে দেখা যায়, ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত প্রায় সবগুলো খাতের শেয়ারের দর বেড়েছে। শেয়ারের প্রচ- সঙ্কটের কারণে এসব শেয়ারের দর অযৌক্তিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় বিনিয়োগসীমা বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। এরমধ্যে সিরামিক, ইন্স্যুরেন্স, বস্ত্র, সিমেন্ট ও প্রকৌশল খাতের পিই রেশিও (মূল্য-আয় অনুপাত) বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। এছাড়া পিই রেশিও বেড়ে যাওয়ায় বিনিয়োগে উল্লেখযোগ্য পরিমাণের ঝুঁকি বেড়েছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, খাদ্য ও অনুসঙ্গ, পাট, ওষুধ ও রসায়ন, সেবা, ট্যানারি খাতের শেয়ারে। আগের যেকোন সময়ের তুলনায় এসব শেয়ারে বিনিয়োগ করা অর্থ ফিরে পেতে বিনিয়োগকারীদের প্রায় দ্বিগুণ সময় অপেক্ষা করতে হবে বলে বাজার বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন।
বাজার পর্যালোচনায় জানা যায়, ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সিরামিক খাতের পিই রেশিও ছিল ৪১ দশমিক ৩৮ পয়েন্ট। কিন্তু শেয়ারের অব্যাহত দর বৃদ্ধি পাওয়ায় এ খাতের পিই রেশিও প্রায় তিনগুণ বেড়ে বর্তমানে ১১৮৪১ দশমিক ৬৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অর্থাৎ এ খাতে বিনিয়োগ করা অর্থ ফেরত পেতে ১১৮ বছরেরও বেশি সময় অপেক্ষা করতে হবে। একই সময়ের মধ্যে সিমেন্টখাত ১৯৪১ দশমিক ৩৫ পয়েন্ট থেকে ৩৮৪১ দশমিক ১১ পয়েন্ট, প্রকৌশল খাতের পিই রেশিও ৩৮৪১ দশমিক ২৫ থেকে ৬৬৪১ দশমিক ৯৮ এবং ইন্স্যুরেন্স খাত ২৬৪১ দশমিক ৯৫ থেকে বেড়ে ৪৭৪১ দশমিক ৮৭ পয়েন্টে, বস্ত্রখাতের পিই রেশিও ২৮৪১ দশমিক ৪৪ থেকে বেড়ে ৫৫৪১ দশমিক ৮৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এরফলে এসব খাতে বিনিয়োগ ঝুঁকি এক বছরের মধ্যেই দ্বিগুণ হয়েছে। এছাড়া এক বছরের মধ্যে ব্যাংকের পিই রেশিও ১২৪১ দশমিক ৭৩ থেকে ১৬৪১ দশমিক ৫ পয়েন্ট, খাদ্য ও অনুসঙ্গ খাতের পিই রেশিও ১৩৪১ দশমিক ৩২ থেকে ২৩৪১ দশমিক ৩৭ পয়েন্টে, জ্বালানি খাতের পিই রেশিও ১৯৪১ দশমিক ৫৩ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২৮ পয়েন্টে, পাটখাতের পিই রেশিও ৪৩৪১ দশমিক ৫৪ থেকে বর্তমানে ৫৩৪১ দশমিক ৩৯ পয়েন্ট, ওষুধ ও রসায়নখাতের পিই রেশিও ২৫৪১ দশমিক ৪৮ থেকে ৩৬৪১ দশমিক ২৯ পয়েন্টে, ট্যানারিখাতের পিই রেশিও ১৩৪১ দশমিক ১২ থেকে ২০৪১ দশমিক ৯৮ পয়েন্ট, সেবাখাতের পিই রেশিও ৫২ থেকে ৬৭ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দর গত এক বছরের মধ্যে দ্বিগুণ কোন কোন ক্ষেত্রে চারগুণ বৃদ্ধি পাওয়ায় এখাতের বিনিয়োগ ঝুঁকি দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে।
অন্যদিকে সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের হস্তক্ষেপে গত এক বছরে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের বিনিয়োগ ঝুঁকি অনেকটাই কমে এসেছে। এক বছরের ব্যবধানে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের পিই রেশিও ৩৮৪১ দশমিক ৯১ থেকে ১৭৪১ দশমিক ৫২ এ নেমে এসেছে। এছাড়া পেপার ও প্রিন্টিংখাতের পিই রেশিও ৪৭৪১ দশমিক ১৭ থেকে ৩৫৪১ দশমিক ২১, বিধিখাতের পিই রেশিও ২৪ থেকে ২০ পয়েন্টে নেমে এসেছে। একইভাবে টেলিকমিউনিকেশন খাতের বিনিয়োগ ঝুঁকি অনেক কমে এসেছে। এছাড়া প্রায় অপরিবর্তিত রয়েছে পুঁজিবাজারের অন্যতম দুর্বল খাত আইটি'র বিনিয়োগ ঝুঁকি। এক বছরে এ খাতের পিই রেশিও ৭৪৪১ দশমিক ৪৬ থেকে ৬৮৪১ দশমিক ৩১ পয়েন্টে নেমে এসেছে।
তবে সামগ্রিকভাবে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগ ঝুঁকি কমাতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) পক্ষ থেকে বিভিন্ন রকমের পদক্ষেপ নেয়া হলেও শেয়ার সংকটের কারণে তা ব্যর্থ হয়েছে। গত এক বছরে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের বিনিয়োগ ঝুঁকি কমাতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন। মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দর অতি মূল্যায়িত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর এসইসি পুঁজিবাজারের সবধরনের মিউচ্যুয়াল ফান্ডে ঋণ সুবিধা বাতিল করে। মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইউনিটের বাজার দর সাধারণত ইউনিটপ্রতি সম্পদ মূল্যের কাছাকাছি থাকার কথা থাকলেও দেশে লেনদেন হওয়া মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলো ইউনিটপ্রতি সম্পদ মূল্যের চাইতে অনেক বেশি দরে লেনদেন হচ্ছে- এ যুক্তিতে এসব ফান্ডের ঋণ সুবিধা বাতিল করে এসইসি। এসইসির ঋণ সুবিধা বাতিলের ফলে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দরে ব্যাপক ধস নামে। অধিকাংশ ফান্ডের দর ইউনিটপ্রতি সম্পদ মূল্যের কাছাকাছি চলে আসায় ২০০৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর সীমিত আকারে ঋণ সুবিধার অনুমোদন করে এসইসি। পরবর্তীতে চলতি বছরের ৩০ আগস্ট ঋণ সুবিধা আরও বাড়ানোর ঘোষণা দেয় এসইসি। বর্তমানে মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোর বাজার দর ইউনিটপ্রতি সম্পদ মূল্যের কাছাকাছি অবস্থান করায় এখাতের বিনিয়োগ ঝুঁকি অনেকটা নিরাপদ অবস্থানে রয়েছে বলে বাজার বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
ডিএসই'র ওয়েব সাইটের তথ্যে দেখা যায়, ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত প্রায় সবগুলো খাতের শেয়ারের দর বেড়েছে। শেয়ারের প্রচ- সঙ্কটের কারণে এসব শেয়ারের দর অযৌক্তিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় বিনিয়োগসীমা বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। এরমধ্যে সিরামিক, ইন্স্যুরেন্স, বস্ত্র, সিমেন্ট ও প্রকৌশল খাতের পিই রেশিও (মূল্য-আয় অনুপাত) বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। এছাড়া পিই রেশিও বেড়ে যাওয়ায় বিনিয়োগে উল্লেখযোগ্য পরিমাণের ঝুঁকি বেড়েছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, খাদ্য ও অনুসঙ্গ, পাট, ওষুধ ও রসায়ন, সেবা, ট্যানারি খাতের শেয়ারে। আগের যেকোন সময়ের তুলনায় এসব শেয়ারে বিনিয়োগ করা অর্থ ফিরে পেতে বিনিয়োগকারীদের প্রায় দ্বিগুণ সময় অপেক্ষা করতে হবে বলে বাজার বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন।
বাজার পর্যালোচনায় জানা যায়, ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সিরামিক খাতের পিই রেশিও ছিল ৪১ দশমিক ৩৮ পয়েন্ট। কিন্তু শেয়ারের অব্যাহত দর বৃদ্ধি পাওয়ায় এ খাতের পিই রেশিও প্রায় তিনগুণ বেড়ে বর্তমানে ১১৮৪১ দশমিক ৬৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অর্থাৎ এ খাতে বিনিয়োগ করা অর্থ ফেরত পেতে ১১৮ বছরেরও বেশি সময় অপেক্ষা করতে হবে। একই সময়ের মধ্যে সিমেন্টখাত ১৯৪১ দশমিক ৩৫ পয়েন্ট থেকে ৩৮৪১ দশমিক ১১ পয়েন্ট, প্রকৌশল খাতের পিই রেশিও ৩৮৪১ দশমিক ২৫ থেকে ৬৬৪১ দশমিক ৯৮ এবং ইন্স্যুরেন্স খাত ২৬৪১ দশমিক ৯৫ থেকে বেড়ে ৪৭৪১ দশমিক ৮৭ পয়েন্টে, বস্ত্রখাতের পিই রেশিও ২৮৪১ দশমিক ৪৪ থেকে বেড়ে ৫৫৪১ দশমিক ৮৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এরফলে এসব খাতে বিনিয়োগ ঝুঁকি এক বছরের মধ্যেই দ্বিগুণ হয়েছে। এছাড়া এক বছরের মধ্যে ব্যাংকের পিই রেশিও ১২৪১ দশমিক ৭৩ থেকে ১৬৪১ দশমিক ৫ পয়েন্ট, খাদ্য ও অনুসঙ্গ খাতের পিই রেশিও ১৩৪১ দশমিক ৩২ থেকে ২৩৪১ দশমিক ৩৭ পয়েন্টে, জ্বালানি খাতের পিই রেশিও ১৯৪১ দশমিক ৫৩ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২৮ পয়েন্টে, পাটখাতের পিই রেশিও ৪৩৪১ দশমিক ৫৪ থেকে বর্তমানে ৫৩৪১ দশমিক ৩৯ পয়েন্ট, ওষুধ ও রসায়নখাতের পিই রেশিও ২৫৪১ দশমিক ৪৮ থেকে ৩৬৪১ দশমিক ২৯ পয়েন্টে, ট্যানারিখাতের পিই রেশিও ১৩৪১ দশমিক ১২ থেকে ২০৪১ দশমিক ৯৮ পয়েন্ট, সেবাখাতের পিই রেশিও ৫২ থেকে ৬৭ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দর গত এক বছরের মধ্যে দ্বিগুণ কোন কোন ক্ষেত্রে চারগুণ বৃদ্ধি পাওয়ায় এখাতের বিনিয়োগ ঝুঁকি দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে।
অন্যদিকে সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের হস্তক্ষেপে গত এক বছরে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের বিনিয়োগ ঝুঁকি অনেকটাই কমে এসেছে। এক বছরের ব্যবধানে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের পিই রেশিও ৩৮৪১ দশমিক ৯১ থেকে ১৭৪১ দশমিক ৫২ এ নেমে এসেছে। এছাড়া পেপার ও প্রিন্টিংখাতের পিই রেশিও ৪৭৪১ দশমিক ১৭ থেকে ৩৫৪১ দশমিক ২১, বিধিখাতের পিই রেশিও ২৪ থেকে ২০ পয়েন্টে নেমে এসেছে। একইভাবে টেলিকমিউনিকেশন খাতের বিনিয়োগ ঝুঁকি অনেক কমে এসেছে। এছাড়া প্রায় অপরিবর্তিত রয়েছে পুঁজিবাজারের অন্যতম দুর্বল খাত আইটি'র বিনিয়োগ ঝুঁকি। এক বছরে এ খাতের পিই রেশিও ৭৪৪১ দশমিক ৪৬ থেকে ৬৮৪১ দশমিক ৩১ পয়েন্টে নেমে এসেছে।
তবে সামগ্রিকভাবে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগ ঝুঁকি কমাতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) পক্ষ থেকে বিভিন্ন রকমের পদক্ষেপ নেয়া হলেও শেয়ার সংকটের কারণে তা ব্যর্থ হয়েছে। গত এক বছরে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের বিনিয়োগ ঝুঁকি কমাতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন। মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দর অতি মূল্যায়িত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর এসইসি পুঁজিবাজারের সবধরনের মিউচ্যুয়াল ফান্ডে ঋণ সুবিধা বাতিল করে। মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইউনিটের বাজার দর সাধারণত ইউনিটপ্রতি সম্পদ মূল্যের কাছাকাছি থাকার কথা থাকলেও দেশে লেনদেন হওয়া মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলো ইউনিটপ্রতি সম্পদ মূল্যের চাইতে অনেক বেশি দরে লেনদেন হচ্ছে- এ যুক্তিতে এসব ফান্ডের ঋণ সুবিধা বাতিল করে এসইসি। এসইসির ঋণ সুবিধা বাতিলের ফলে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দরে ব্যাপক ধস নামে। অধিকাংশ ফান্ডের দর ইউনিটপ্রতি সম্পদ মূল্যের কাছাকাছি চলে আসায় ২০০৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর সীমিত আকারে ঋণ সুবিধার অনুমোদন করে এসইসি। পরবর্তীতে চলতি বছরের ৩০ আগস্ট ঋণ সুবিধা আরও বাড়ানোর ঘোষণা দেয় এসইসি। বর্তমানে মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোর বাজার দর ইউনিটপ্রতি সম্পদ মূল্যের কাছাকাছি অবস্থান করায় এখাতের বিনিয়োগ ঝুঁকি অনেকটা নিরাপদ অবস্থানে রয়েছে বলে বাজার বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
Lei ˆ`wbK msev`
No comments:
Post a Comment