পার্শ্বপেশা হিসেবে শেয়ার ব্যবসা বেশ জনপ্রিয়। যে কেউ মূল পেশার পাশাপাশি এটি করতে পারে। বর্তমানে অনেকেই এ ব্যবসায় যুক্ত।শেয়ার ব্যবসা করতে হলে প্রথমেই আপনাকে জানতে হবে শেয়ার ব্যবসা কী? শেয়ার ব্যবসা হচ্ছে কোনো প্রতিষ্ঠানের মালিকানার ক্ষুদ্র অংশ। আর স্টক এক্সচেঞ্জের তলিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানের হস্তান্তরযোগ্য মালিকানার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশের দলিল বেচাকেনাই হচ্ছে শেয়ার ব্যবসা। প্রতিষ্ঠানগুলো যখন তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রমকে আরও বাড়াতে চায়, তখন প্রয়োজন হয় অতিরিক্ত মূলধনের। এই বাড়তি মূলধন জোগাতে প্রতিষ্ঠানগুলো বাজারে নিজেদের শেয়ার বিক্রি করে থাকে।
যা করতে হবে: প্রথমে আপনাকে ব্যাংকে হিসাব খুলতে হবে এবং সেই ব্যাংক হিসাব দিয়ে বিও হিসাব খুলতে হবে। শেয়ার ব্যবসার দুটি স্তর আছে। একটি হলো প্রাইমারি, অন্যটি সেকেন্ডারি। প্রাইমারি শেয়ার ব্যবসার ক্ষেত্রে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো সরাসরি গ্রাহকের সঙ্গে শেয়ার বেচাকেনা করে। প্রাইমারি শেয়ার যখন স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের মধ্যে বেচাকেনা হয়, তখন তাকে সেকেন্ডারি শেয়ার বলে। প্রাইমারি শেয়ার ব্যবসা করতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্দিষ্ট আবেদনপত্রে বিও হিসাবের অনুকূলে আইপিওর (ইনিশিয়াল প্রাইমারি অফার) জন্য আবেদন করতে হয়। আর সেকেন্ডারি শেয়ারের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ব্রোকার হাউসের সহায়তা নিতে পারেন। এ সম্পর্কে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সহকারী নির্বাহী কর্মকর্তা পপি রানী বাড়ৈ জানান, মূল পেশার পাশাপাশি পার্শ্বপেশা হিসেবে শেয়ার ব্যবসা বেশ ভালো। তবে এখানে ব্যবসা করতে হলে বুদ্ধিমত্তার পাশাপাশি থাকতে হবে বিচক্ষণতা।
No comments:
Post a Comment