ঢাকার কারওয়ান বাজারে ফুটপাতে ঘড়ির ব্যবসা করেন মনির হোসেন। ব্যবসা করে বেশ কিছু টাকা জমিয়েছিলেন। অনেকের কাছ থেকে শোনেন পুঁজিবাজার বা শেয়ারবাজারের কথা।আগ্রহী হয়ে ওঠেন শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করতে। তাঁর ধারণা, রাতারাতি টাকা কামানোর এই বুঝি সহজ উপায়। শেয়ার কিনলেই তো অনেক লাভ। কাছের একটি ব্রোকার হাউসে বেনিফিশারি হিসাব (বিও) খোলেন। শুরু করেন বিনিয়োগ। না জেনে, না বুঝেই বিনিয়োগ শুরু করেন তিনি। কিছু দিন যেতে না যেতেই ঘুম ভাঙে তাঁর। বুঝতে পারেন বিনিয়োগ ঠিকমতো হয়নি। কিন্তু তখন আর কিছু করার ছিল না। কষ্টের জমানো তিন লাখ টাকা প্রায় শেষ হয়ে গেছে। শেয়ারবাজারের দরপতন দেখে কেনা শেয়ারগুলো আবার তড়িঘড়ি করে বিক্রি করে দিয়ে অনেকটা নিঃস্ব হয়ে ফিরে আসেন শেয়ারবাজার থেকে।
শুধু মনির নয়, তাঁর মতো অনেকেই না জেনে, না বুঝে বিনিয়োগ করে আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। নিজের জমানো টাকা লাভের আশায় বিনিয়োগ করে শেষ করে ফেলছেন। আবার অনেকেই বিনিয়োগ করে লাভবানও হচ্ছেন। তাই শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ শুরুর আগে পুরো বিষয়টি বুঝে নিতে হবে ভালো করে। কাদের জন্য এই শেয়ারবাজার তাও জানতে হবে।
পুঁজিবাজারের চিত্র
বর্তমানে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীর সংখ্যা প্রায় ২৬ লাখ। সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে, প্রায় পাঁচ থেকে ছয় লাখ লোক নিয়মিত শেয়ার বেচাকেনা করে থাকেন। আর প্রতিটি কার্য দিবসে প্রায় দুই লাখ ৫০ হাজার বিনিয়োগকারী বেচাকেনার কাজ করেন। প্রতিদিনের লেনদেনের পরিমাণও অনেক। এখান থেকে কেউ লাভ করছেন, কারও আবার বিনিয়োগ করা টাকা শেষ হয়ে যাচ্ছে।
কাদের জন্য
শেয়ার ব্যবসা কি সবার জন্য? পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে চাইলে কেউ আপনাকে বাধা দিতে পারবে না। তবে এ ব্যবসায় আপনার ঢোকাটা ঠিক হবে কি না, তা আপনাকেই বুঝতে হবে। কথা হচ্ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ও পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞ বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ আবু আহমেদের সঙ্গে। তিনি সিকিউরিটি ও এক্সচেঞ্জ কমিশনের সাবেক উপদেষ্টা।তিনি বলেন, পুঁজিবাজার আসলে সবার জন্য নয়। বর্তমানে দেখা যায়, ন্যূনতম জ্ঞান নেই এমন অনেক লোক পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। এ ব্যবসা সত্যিকার অর্থে নির্বাচিত কিছু লোকের জন্য। যাঁদের পুঁজিবাজার সম্পর্কে জ্ঞান আছে, যাঁরা ব্যবসায় ঝুঁকি নিতে পারেন, কেবল এমন পেশাদার শিক্ষিত লোকেরই উচিত এখানে বিনিয়োগ করা।
পেশারও ক্ষেত্র
পুঁজিবাজারে সাধারণত দুই ধরনের বিনিয়োগকারী থাকেন। এক. ব্যক্তিগত পর্যায়ে বিনিয়োগকারী।
দুই. প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বিনিয়োগকারী। আবার পুঁজিবাজারের ব্যক্তিগত পর্যায়ে বিনিয়োগকারীদের বেশির ভাগ বিভিন্ন অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকেন। তাঁদের কেউ চাকরিজীবী, কেউ ব্যবসায়ী, কেউ শিক্ষিত বেকার, কেউ বা কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া আবার অনেকেই আছেন যাঁরা বিদেশফেরত।কেউ চাইলে এটাকে রীতিমতো পেশার ক্ষেত্র হিসেবেও নিতে পারেন। প্রাইলিংক সিকিউরিটিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. জহিরুল ইসলাম জানান, অল্প কিছু দিন আগেও মানুষ ভাবতে পারত না, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করে এটাকে পেশা হিসেবে নেওয়া যাবে। তবে বর্তমানে সে ধারণা পাল্টে গেছে। এখন অনেকেই পুঁজিবাজারকে পেশার জায়গা হিসেবেই নিচ্ছেন। বিশেষ করে অনেক শিক্ষিত বেকার ও বিদেশফেরত লোকজন পুঁজিবাজারকে পেশার ক্ষেত্র হিসেবে নিচ্ছেন।
বিনিয়োগে হতে হবে কৌশলী
অনেকেই পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকে লটারির মতো মনে করে থাকে। তবে শেয়ার ব্যবসা কোনো লটারির খেলা নয়। এখানে বিনিয়োগ করে লাভবান হতে হলে তাকে কৌশলী হতে হবে। বাজারের ধারাকে বুঝতে হবে।
আবু আহমেদ বলেন, বিনিয়োগের আগে বিনিয়োগকারীকে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অর্থনৈতিক তথ্য যথাযথভাবে বিশ্লেষণ করতে হবে। তা ঠিকভাবে না করতে পারলে আর্থিক ক্ষতির সম্ভাবনাই বেশি। অনেকে আবার বিভিন্ন গুজবে কান দিয়ে বিনিয়োগ করে নিজের ক্ষতি করে ফেলছেন।
বিনিয়োগ বিভিন্ন খাতে
আপনি যদি শেয়ারে বিনিয়োগ করে লাভবান হতে চান, তবে বিনিয়োগ করার সময় একটি বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। মূলধনের টাকাকে খাত অনুযায়ী ভাগ করে নিতে হবে। আবু আহমেদ জানান, বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের ফলে কোনো একটি বিশেষ খাতের বিনিয়োগ যদি ক্ষতির মধ্যেও পড়ে যায় তা অন্য খাতের মাধ্যমে পুষিয়ে নিতে পারবেন। আর পুরো টাকা একটি খাতে বিনিয়োগ করে ফেললে সে সুযোগ আর থাকে না। বাংলাদেশের শেয়ারবাজারের সিকিউরিটিকে ১৭টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। সেগুলো হলো ব্যাংকিং, বিনিয়োগ, করপোরেট বন্ড, বিমা, প্রকৌশল খাত, খাদ্য ও সমজাতীয় পণ্য, জ্বালানি, ওষুধ, কাগজ ও মুদ্রণ, সেবা, পাট, টেক্সটাইল, সিমেন্ট, তথ্যপ্রযুক্তি, সিরামিক, পর্যটন এবং বিবিধ। আপনি যদি শেয়ার ব্যবসায় বিনিয়োগ করতে চান, তবে আপনাকে এসব খাত ধরে বিনিয়োগ করতে হবে।
শেয়ারের শ্রেণী
শেয়ারবাজারে যেসব কোম্পানির শেয়ার আছে সেগুলোকে আবার এ, বি, এন এবং জেড শ্রেণীতে বিভক্ত করা হয়েছে। এ শ্রেণীতে রয়েছে ওই সব কোম্পানির শেয়ার, যারা নিয়মিত বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) করে এবং শেয়ার লভ্যাংশও দেয় ১০ শতাংশের ওপর। নিয়মিত বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) করলেও লভ্যাংশ দেয় ১০ শতাংশের কম তারা পড়ে বি শ্রেণীতে। এন শ্রেণীতে আছে এক বছরের কম সময় আগে নিবন্ধিত কোম্পানির শেয়ার। আর জেডে রয়েছে যারা নিয়মিত লভ্যাংশ দেয় না এবং এজিএমও করে না। জহিরুল ইসলাম বলেন, যাঁরা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে সাবধানতা মেনে চলেন, তাঁরা সাধারণত এ শ্রেণীর শেয়ার কিনে থাকেন।
সাবধানতা
যাঁরা ভাবছেন শেয়ার ব্যবসায় বিনিয়োগ করবেন, তাঁরা বিনিয়োগকে ঝুঁকিমুক্ত রাখতে কয়েকটি বিষয় বিশেষ খেয়াল রাখুন। তবে হ্যাঁ ঝুঁকি যত বেশি, লাভবান হওয়ার সুযোগও তত বেশি। শেয়ার বেচার সময় শতকরা ১০ টাকা লাভ হলেই বিক্রি করে দেয়া উচিত।
পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ একটি সুচিন্তিত, পরিকল্পিত ও বিশ্লেষণধর্মী বিনিয়োগ।l
এখানে লাভের যেমন সুযোগ আছে, তেমনি আছে আর্থিক ক্ষতির ঝুঁকিও।l
কোম্পানি/ফান্ডের অতীত, বর্তমান, আর্থিক ফলাফল এবং অবস্থা, ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা ইত্যাদি নিবিড়ভাবে বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগ করতে হবে।l
বিনিয়োগের আগে পুঁজিবাজারের বিভিন্ন দিক, বিষয়, খুঁটিনাটি সম্পর্কে সঠিক,l পর্যাপ্ত তথ্য ও জ্ঞানলাভ করতে হবে। বিনিয়োগের সময় প্রতিষ্ঠানের নিরীক্ষিত আয়-ব্যয়সহ আর্থিক অবস্থা সম্পর্কিত স্বীকৃত কিছু মানদণ্ড বিশ্লেষণ করে দেখতে হয়। ফলাফল বিশ্লেষণ ছাড়া বিনিয়োগে ঝুঁকি বেশি।
শুধু মনির নয়, তাঁর মতো অনেকেই না জেনে, না বুঝে বিনিয়োগ করে আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। নিজের জমানো টাকা লাভের আশায় বিনিয়োগ করে শেষ করে ফেলছেন। আবার অনেকেই বিনিয়োগ করে লাভবানও হচ্ছেন। তাই শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ শুরুর আগে পুরো বিষয়টি বুঝে নিতে হবে ভালো করে। কাদের জন্য এই শেয়ারবাজার তাও জানতে হবে।
পুঁজিবাজারের চিত্র
বর্তমানে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীর সংখ্যা প্রায় ২৬ লাখ। সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে, প্রায় পাঁচ থেকে ছয় লাখ লোক নিয়মিত শেয়ার বেচাকেনা করে থাকেন। আর প্রতিটি কার্য দিবসে প্রায় দুই লাখ ৫০ হাজার বিনিয়োগকারী বেচাকেনার কাজ করেন। প্রতিদিনের লেনদেনের পরিমাণও অনেক। এখান থেকে কেউ লাভ করছেন, কারও আবার বিনিয়োগ করা টাকা শেষ হয়ে যাচ্ছে।
কাদের জন্য
শেয়ার ব্যবসা কি সবার জন্য? পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে চাইলে কেউ আপনাকে বাধা দিতে পারবে না। তবে এ ব্যবসায় আপনার ঢোকাটা ঠিক হবে কি না, তা আপনাকেই বুঝতে হবে। কথা হচ্ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ও পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞ বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ আবু আহমেদের সঙ্গে। তিনি সিকিউরিটি ও এক্সচেঞ্জ কমিশনের সাবেক উপদেষ্টা।তিনি বলেন, পুঁজিবাজার আসলে সবার জন্য নয়। বর্তমানে দেখা যায়, ন্যূনতম জ্ঞান নেই এমন অনেক লোক পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। এ ব্যবসা সত্যিকার অর্থে নির্বাচিত কিছু লোকের জন্য। যাঁদের পুঁজিবাজার সম্পর্কে জ্ঞান আছে, যাঁরা ব্যবসায় ঝুঁকি নিতে পারেন, কেবল এমন পেশাদার শিক্ষিত লোকেরই উচিত এখানে বিনিয়োগ করা।
পেশারও ক্ষেত্র
পুঁজিবাজারে সাধারণত দুই ধরনের বিনিয়োগকারী থাকেন। এক. ব্যক্তিগত পর্যায়ে বিনিয়োগকারী।
দুই. প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বিনিয়োগকারী। আবার পুঁজিবাজারের ব্যক্তিগত পর্যায়ে বিনিয়োগকারীদের বেশির ভাগ বিভিন্ন অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকেন। তাঁদের কেউ চাকরিজীবী, কেউ ব্যবসায়ী, কেউ শিক্ষিত বেকার, কেউ বা কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া আবার অনেকেই আছেন যাঁরা বিদেশফেরত।কেউ চাইলে এটাকে রীতিমতো পেশার ক্ষেত্র হিসেবেও নিতে পারেন। প্রাইলিংক সিকিউরিটিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. জহিরুল ইসলাম জানান, অল্প কিছু দিন আগেও মানুষ ভাবতে পারত না, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করে এটাকে পেশা হিসেবে নেওয়া যাবে। তবে বর্তমানে সে ধারণা পাল্টে গেছে। এখন অনেকেই পুঁজিবাজারকে পেশার জায়গা হিসেবেই নিচ্ছেন। বিশেষ করে অনেক শিক্ষিত বেকার ও বিদেশফেরত লোকজন পুঁজিবাজারকে পেশার ক্ষেত্র হিসেবে নিচ্ছেন।
বিনিয়োগে হতে হবে কৌশলী
অনেকেই পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকে লটারির মতো মনে করে থাকে। তবে শেয়ার ব্যবসা কোনো লটারির খেলা নয়। এখানে বিনিয়োগ করে লাভবান হতে হলে তাকে কৌশলী হতে হবে। বাজারের ধারাকে বুঝতে হবে।
আবু আহমেদ বলেন, বিনিয়োগের আগে বিনিয়োগকারীকে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অর্থনৈতিক তথ্য যথাযথভাবে বিশ্লেষণ করতে হবে। তা ঠিকভাবে না করতে পারলে আর্থিক ক্ষতির সম্ভাবনাই বেশি। অনেকে আবার বিভিন্ন গুজবে কান দিয়ে বিনিয়োগ করে নিজের ক্ষতি করে ফেলছেন।
বিনিয়োগ বিভিন্ন খাতে
আপনি যদি শেয়ারে বিনিয়োগ করে লাভবান হতে চান, তবে বিনিয়োগ করার সময় একটি বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। মূলধনের টাকাকে খাত অনুযায়ী ভাগ করে নিতে হবে। আবু আহমেদ জানান, বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের ফলে কোনো একটি বিশেষ খাতের বিনিয়োগ যদি ক্ষতির মধ্যেও পড়ে যায় তা অন্য খাতের মাধ্যমে পুষিয়ে নিতে পারবেন। আর পুরো টাকা একটি খাতে বিনিয়োগ করে ফেললে সে সুযোগ আর থাকে না। বাংলাদেশের শেয়ারবাজারের সিকিউরিটিকে ১৭টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। সেগুলো হলো ব্যাংকিং, বিনিয়োগ, করপোরেট বন্ড, বিমা, প্রকৌশল খাত, খাদ্য ও সমজাতীয় পণ্য, জ্বালানি, ওষুধ, কাগজ ও মুদ্রণ, সেবা, পাট, টেক্সটাইল, সিমেন্ট, তথ্যপ্রযুক্তি, সিরামিক, পর্যটন এবং বিবিধ। আপনি যদি শেয়ার ব্যবসায় বিনিয়োগ করতে চান, তবে আপনাকে এসব খাত ধরে বিনিয়োগ করতে হবে।
শেয়ারের শ্রেণী
শেয়ারবাজারে যেসব কোম্পানির শেয়ার আছে সেগুলোকে আবার এ, বি, এন এবং জেড শ্রেণীতে বিভক্ত করা হয়েছে। এ শ্রেণীতে রয়েছে ওই সব কোম্পানির শেয়ার, যারা নিয়মিত বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) করে এবং শেয়ার লভ্যাংশও দেয় ১০ শতাংশের ওপর। নিয়মিত বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) করলেও লভ্যাংশ দেয় ১০ শতাংশের কম তারা পড়ে বি শ্রেণীতে। এন শ্রেণীতে আছে এক বছরের কম সময় আগে নিবন্ধিত কোম্পানির শেয়ার। আর জেডে রয়েছে যারা নিয়মিত লভ্যাংশ দেয় না এবং এজিএমও করে না। জহিরুল ইসলাম বলেন, যাঁরা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে সাবধানতা মেনে চলেন, তাঁরা সাধারণত এ শ্রেণীর শেয়ার কিনে থাকেন।
সাবধানতা
যাঁরা ভাবছেন শেয়ার ব্যবসায় বিনিয়োগ করবেন, তাঁরা বিনিয়োগকে ঝুঁকিমুক্ত রাখতে কয়েকটি বিষয় বিশেষ খেয়াল রাখুন। তবে হ্যাঁ ঝুঁকি যত বেশি, লাভবান হওয়ার সুযোগও তত বেশি। শেয়ার বেচার সময় শতকরা ১০ টাকা লাভ হলেই বিক্রি করে দেয়া উচিত।
পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ একটি সুচিন্তিত, পরিকল্পিত ও বিশ্লেষণধর্মী বিনিয়োগ।l
এখানে লাভের যেমন সুযোগ আছে, তেমনি আছে আর্থিক ক্ষতির ঝুঁকিও।l
কোম্পানি/ফান্ডের অতীত, বর্তমান, আর্থিক ফলাফল এবং অবস্থা, ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা ইত্যাদি নিবিড়ভাবে বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগ করতে হবে।l
বিনিয়োগের আগে পুঁজিবাজারের বিভিন্ন দিক, বিষয়, খুঁটিনাটি সম্পর্কে সঠিক,l পর্যাপ্ত তথ্য ও জ্ঞানলাভ করতে হবে। বিনিয়োগের সময় প্রতিষ্ঠানের নিরীক্ষিত আয়-ব্যয়সহ আর্থিক অবস্থা সম্পর্কিত স্বীকৃত কিছু মানদণ্ড বিশ্লেষণ করে দেখতে হয়। ফলাফল বিশ্লেষণ ছাড়া বিনিয়োগে ঝুঁকি বেশি।
No comments:
Post a Comment